Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
আমের নাম ইলামতি
বিস্তারিত

আমটির নাম ইলামতি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ও নাচোলে সন্ধান পাওয়া গেছে এই আমের। আমটি নাবি জাতের অর্থাৎ মৌসুমের শেষ দিকের। নাবি জাতের আমগুলোর মধ্যে এটি সম্ভাবনাময় বলে মনে করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টারের কৃষিবিদেরা। এখানকার কৃষিবিদেরা ২০১৩ সালে খুঁজে পেয়েছিলেন আরেকটি নাবি জাতের আম ‘গৌড়মতি’। জাতটি ইতিমধ্যেই আমপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

খুঁজে পাওয়ার পর দুবছর পর্যবেক্ষণ শেষে হর্টিকালচার সেন্টারের কৃষিবিদদের ভাষ্য, সুগন্ধ ও সুস্বাদু এই জাত আমপ্রেমীদের পছন্দের তালিকায় থাকার সব গুণ বহন করছে। অথচ আমটি ছিল অনেকের কাছেই অজানা ও নামহীন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ইলা মিত্রের তেভাগা আন্দোলনখ্যাত নাচোলের মাটিতে ও পাশের উপজেলা গোমস্তাপুরে দেখা যাওয়ায় এ আমের নাম ইলা মিত্রের ‘ইলা’ ও মূল্যবান অর্থে ‘মতি’ যোগ করে ইলামতি রাখা হয়েছে।

হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বললেন, ইলামতি নাম রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, গৌড়মতির মতোই নাম করবে ইলামতি। ইতিমধ্যে এর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

আমটির পর্যবেক্ষণে সরাসরি জড়িত ছিলেন কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউপির রামচন্দ্রপুর মৌজার একটি বাগানে আমটির সন্ধান পাই। ওই বাগানে ১০টি গাছ আছে, যেগুলো দ্বিতীয় প্রজন্মের। আর নাচোলের বরেন্দ্রভূমিতে ১৮০টি গাছ নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি বাগান। সদর উপজেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের আমনূরায় আছে ১০০ গাছের আরও একটি বাগান। নামহীন গুটি জাত হিসেবে ছিল আমটির পরিচিতি।

বিজ্ঞাপন

অতি সম্প্রতি চৌডালা ইউনিয়নের বেলাল বাজার-আরগাড়া হাট সড়কের পাশে বড় একটি আমবাগানের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, আশ্বিনা জাতের আম ছাড়া অন্য কোনো ভালো জাত নেই। বাগানের মধ্যে কেবল ১০টি গাছে ঝুলছে এই নাবি জাতের আম। বাগানটির মালিক আশরাফুল আলম (৪৫) জানালেন, দাদা সাফাতুল্লাহ মণ্ডলের খুব পছন্দের ছিল আমটি। তিনিই প্রথম লাগিয়েছিলেন কুমারগাড়া গ্রামে। সেখানকার জমি বিক্রি করে দেওয়া হয়। আগের গাছটি আর আছে কি না জানা নেই। তাঁর ইচ্ছাতেই মূল গাছ থেকে কলম করার মাধ্যমে এ বাগানে ১০টি ও পাশের আরেকটি বাগানে ১৬টি গাছের সৃষ্টি। এ ছাড়া এক ব্যক্তি এখান থেকে সায়ন (কলম করার উপযোগী ডগা) সংগ্রহ করে নাচোলে বাগান করেন। টিকে যায় আমটি। তাঁর কথায়, ‘গুটি কহ্যাই লাগালছিনু। আগে ক্ষীরশাপাতি ও ল্যাংড়ার সঙ্গে গুটি আম হিসাবে কম দামে বেচতুং। পাঁচ বছর থ্যাকা দেখছি আমটা নামলা (নাবি)। আর দুবছর থ্যাকা দাম পাছি ভালোই। গত বছর ৭ হাজার ৩০০ থেকে ১০ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। এবার ১০-১২ হাজার টাকা মণ বিক্রি করব।’

হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মোজদার হোসেন আমটি সম্পর্কে আরও বললেন, আমের বড় শত্রু হচ্ছে মাছিপোকা। এই আমে মাছিপোকার আক্রমণ দেখা যায়নি।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
23/11/2021